গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস।

 

গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস
বিলরুট ক্যানেল – গোপালগঞ্জ জেলা

 

গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস:-

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মহকুমা ছিলো গোপালগঞ্জ জেলা। এই গোপালগঞ্জ জেলা এক সময় রাজগঞ্জ নামেও পরিচিত ছিল। গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রাণি রাসমনির দায়িত্বে ছিল। তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন। তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। তখন ছিল সিপাই বিদ্রোহের সময়। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুরে অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। ধারণা করা হয় সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ।

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬’ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%।

শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রবর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।

 

গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস
পাগল সেবাশ্রম – গোপালগঞ্জ জেলা

 

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment