গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।

 

গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল
আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি – গোপালগঞ্জ জেলা

 

গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল:-

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি গৌরবদীপ্ত ইতিহাসের অধিকারী। মহান মুক্তিযুদ্ধে গোপালগঞ্জের “বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ” উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। জনাব অনিল বিশ্বাস, বরুন সরকার, ইবনে সাঈদ, শিবশংকর অধিকারী, প্রফুল্ল বিশ্বাস,বীরেন সাহা প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধকালে সংগীতের মাধ্যমে মুক্তির বার্তা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট ছিলেন।

বর্তমানে গোপালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি শিল্প সংস্কৃতির প্রসারে অত্র অঞ্চলে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। এখানকার উল্লেখযোগ্য শিল্পী গোষ্ঠি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ত্রিবেনী গণ সাংস্কৃতিক সংস্থা, মধুমতি পল্লি বাউল শিল্পী গোষ্ঠী,উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, সুর সন্ধান শিল্পী গোষ্ঠী, চন্দ্রিমা শিল্পী গোষ্ঠী ইত্যাদি। বর্তমান সময়কালের উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হচ্ছেন অনিল বিশ্বাস, নিপর্না বিশ্বাস, শাহানাজ রেজা এ্যানী, রাখাল ঠাকুর, দুলাল দাস, প্রফুল্ল বল ইত্যাদি। বর্তমানে জাতীয় দিবসগুলোসহ স্থানীয় বিভিন্ন উৎসবে গোপালগঞ্জের শিল্পী সমাজ অংশগ্রহণ করে থাকেন।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬’ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা।

এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%। শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি।

প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রবর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।

 

গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স – গোপালগঞ্জ জেলা

 

Leave a Comment