গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ , গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ। প্রতিটি বেড থেকে ১দিন পর ১ জন কৃষক ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন। ৮০ টাকা কেজি দরে কৃষক পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেন। এখন তারা প্রতি কেজি কালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। মানব দেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত কালি বিক্রি করে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ জনপ্রিয় করণ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়ীরচর গ্রামে ২৫টি ভাসমান বেডে ৫ জন কৃষক এ বছর পেঁয়াজের চাষ করছেন। ১২ মিটার লম্বা ও ১মিটার চওড়া একটি বেড থেকে কৃষক ১দিন পর একদিন ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি তুলছেন। সে হিসেবে ১দিন পর একদিন ২৫টি বেড থেকে ৫০ কেজি পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন কৃষক।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, ৩ বছর আগে ভাসমান বেডে নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক প্রথম  পেঁয়াজ চাষ করেন।

 

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ

 

তিনি পেঁয়াজ চাষে সাফল্য অর্জন করেন। গত বছরও তিনি ভাসমান বেডে পেঁয়াজের চাষাবাদ করে লাভবান হন। তার দেখাদেখি এ বছর আরো ৪ জন কৃষক ভাসমান বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। হানিফসহ ৫ জন কৃষক ২৫টি বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তারা এখন ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে বিক্রি করছেন। এতে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন। বাজারে তাদের কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, বর্ষাকালে আমরা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করি ।এ বেডে শাক ও সবজির আবাদ করি। বেডের শাক-সবজি বিক্রি অক্টোবরে মাঝামাঝি শেষ হয়। তখন বাওড়ের পানি কমতে থাকে। এরপর বেডে পেঁয়াজ রোপণ করি। নভেম্বরের মাঝামাঝি ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেছি।

একদিন পর একদিন প্রতিটি বেড থেকে ২ কেজি করে কালি তুলছি। প্রথম ৮০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করেছি। এখন ৩০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করছি। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ কালি বিক্রি করব। আমাদের কালি চিকন ও আকারে ছোট। তাই বাজারে এ কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা একটু বেশি দামে এ কালি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। একটি বেড থেকে ২ মাসে অন্তত ৬০ কেজি কালি বিক্রি করতে পারব। কালিতে পেঁয়াজের থেকে বেশি টাকা পাব ।

 

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ

 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন,ভাসমান বেডে কোন কেমিক্যাল সার ও কীটনাশক ছাড়াই পোঁয়াজ  আবাদ করা হয়েছে। এ বেডে এখন প্রচুর পরিমানে পেঁয়াজ কালি ধরেছে । এ পেঁয়াজ কালি মানব দেহের জন্য নিরাপদ। কৃষকরা এখান থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করছেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া বাজারের ক্রেতা সামসুদ্দিন বলেন, সারা বছর হানিফের কাছ থেকে শাক-সবজি ক্রয় করি। তার শাক-সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই তার শাক-সবজি একটু বেশি দামে ক্রয় করে থাকি। এখন শক-সবজির সাথে সে মাঝে মাঝে পেঁয়াজ কালি বাজারে নিয়ে আসছেন। তার পেঁয়াজ কালির মত এত সুন্দর পেঁয়াজ কালি বাজারে  আর কেউ আনে না। তাই সবাই আগ্রহ করে বেশি দামে হানিফের পেঁয়াজ কালি সবাই কিনে নিয়ে যায়। তার পেঁয়াজ কালির স্বাদ ভালো।

আরও দেখুন:

Leave a Comment